তোমার ঈদ উৎসব, আমার নয় কেন?

রমজান মাসের শেষে আসে খুশির ঈদ। সারা পৃথিবী জুড়ে ঈদ পালিত হলেও, সব মহাদেশে একই দিনে ঈদ হয়না। তাই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে যেদিন ঈদ পালিত হয় তার একদিন আগেই তুরস্ক, মিশর, আরব, মরোক্কতে হয়ে যায়।
এই পার্থক্যটা কেন হয় এবং কীসের ভিত্তিতে হয় তা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী। কেন বলা হয় তোমার ঈদ, আমার নয়।
শাওয়াল মাসের প্রথম দিনে পালিত হয় পবিত্র ঈদ–উল–ফিতর।
এই মাসের শুরু অর্থাৎ ঈদের দিন সাধারণত নির্ধারিত হয় আগের রাতের চাঁদ দেখে।
চাঁদ যদি দেখা যায় তবেই ঈদ পালিত হয়। কিন্তু চাঁদ কি একমাত্র পন্থা ঈদের দিন নির্ধারিত করার?
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নতিতে বেশ কিছু নতুন কৌশলও আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে পুরোনো পদ্ধতিগুলিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঈদে সরাসরি চাঁদ দেখা
আকাশে সরু একফালি চাঁদ দেখতে পাওয়া মানেই রমজান শেষ, তাই অনেকেই ২৯ টা রোজার পর থেকেই আকাশের দিকে তাকান চাঁদ দেখার উদ্দেশ্যে।
যদিও এই চাঁদ দেখা সব জায়গায় একই দিনে হয় না তাই চাঁদ দেখতে পেলেও ঈদ অন্যদিনেই হয়।
এখন আন্তর্জাতিক স্তরে এ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং একটা নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে দেওয়া হয়।
সুতরাং যদি অষ্ট্রেলিয়ায় আজ ঈদ পালন করা হয় এবং আমেরিকায় আগামীকাল, তাহলে তা এই নির্ধারিত তারিখ মেনেই হয়।
মক্কার ঈদ অনুযায়ী
অনেকে মক্কার চাঁদকে মানদন্ড হিসেবে দেখেন এবং পরের দিন ঈদ পালন করেন। কিছু জায়গায় মক্কায় যেদিন ঈদ পালন করা হয় তার পর দিন ঈদ পালন করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। যদি মক্কায় শুক্রবার ঈদ হয় তাহলে কিছু জায়গায় শুক্রবার ঈদ পালন করা হয় কিছু জায়গায় শনিবার।
সাধারণত আমাদের দেশে মক্কার ঈদের একদিন পরে পালন করা হয়।
ঈদ ও গণনা প্রথা
বেশ কিছু জায়গার মানুষ চাঁদের থেকেও গণনায় বেশি আস্থা রাখেন এবং রমজানের আগেই ঈদের দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
এখানে চাঁদ দেখা না গেলেও ঈদ পালিত হয়।
চাঁদের দৃশ্যমানতার গণনা
এই পদ্ধতিটি প্রথম এবং তৃতীয় পদ্ধতির সম্মিলিত একটি পন্থা। এখানে গণনা করা হয় চাঁদ কবে দেখা যেতে পারে, সেই হিসেবে ঈদের দিন নির্ধারণ করা হয়। চাঁদ দেখা না গেলে দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এই সমস্ত পদ্ধতিগুলো সাধারণভাবে মানা হলেও ঈদের দিন নির্ধারণ বিষয়টি বেশ জটিল এবং বেশিরভাগটাই চাঁদ নির্ভর। বর্তমান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দিন নির্ধারণ করার পদ্ধতির সরলীকরণ করার চেষ্টা চললেও তা একশো শতাংশ নির্ভূল নয়।