প্রয়োজন যতটা ততটাই আমাদের প্রাপ্য

সর্বশক্তিমান আল্লাহের রহমত সবার নসিব হয়, প্রত্যেক মানুষ ততটুকুই পায় যতটা প্রয়োজন। সেভাবেই চলে এই পৃথিবী। তিনি এমন কাউকে বেশি দেবেন না যে অপব্যবহার করবে আবার এমন কাউকে কম দেবেন না যার ক্ষমতা আছে ভালো কিছু করার।
প্রয়োজন কতটা?
এটা সর্বসম্মত যে যার কাছে সুখের জায়গা খুব কম, তার দুঃখ পাবার অবকাশও খুব কম। আল্লাহ জানেন কার কতটা প্রয়োজন, তিনিই সমস্ত কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই তিনি জানেন কতটা তোমাকে দিলে তুমি ঠিক পথে চলবে আর কখন তোমরা বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা আছে।
যে সমস্ত মানুষ মনে করে যে তাদের প্রচুর আছে, এর বেশি আর কিছু চাই না তাদের মধ্যে স্বৈরাচারী বা স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই মানুষদের উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহতায়ালা কোরাআনে (৯৬:৬-৮) বলেছেন, “হ্যাঁ মানুষের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়, সে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করতে পারে নিজেকে। তখন তোমার মালিকের কাছে ফিরে এসো।”
যখন তুমি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করবে তখন জেনে রাখবে যে, “যদি আল্লাহ তোমাকে বেশি দেয় তাহলে তিনি জানেন তোমার সঠিক পথে চলার ক্ষমতা আছে। তিনি অযোগ্যকে কখনও বেশি দেবেন না, কারণ তিনি জানেন সে তার অপব্যবহার করবে।”
কৃতজ্ঞ হতে শিখুনঃ
এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি তোমাকে ততটাই দেন যতটা তোমার প্রয়োজন। হতে পারে যে তুমি মনে করো তোমার আরও চাই, কারণ তুমি বোঝো না। হয়তো যা আছে তার বেশী পেলে তোমার নৈতিকবোধ তোমার ইমান ক্ষয়িত হবে অথবা তোমার হৃদয়ের বোঝা বাড়বে।
একথা শুধুমাত্র ধনসম্পদের জন্যই নয় অন্যান্য বিষয়েও প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ তাকেই ক্ষমতা দেবেন যে সেই ক্ষমতার সুব্যবহার করবে। যদি তিনি দেখেন যে কোনো একজন ক্ষমতা পেলে তার অপব্যবহার করবে তাকে তিনি অবশ্যই দেবেন না। অর্থাৎ যার যতটুকু প্রয়োজন জীবনে সে ততটুকুই পাবে।
রাসূল (সা:) বলেছেন, তোমাকে তোমার প্রয়োজন মতো দিয়েছেন আল্লাহ, এই হলো তাঁর করুণা। তিনিও এই দোয়াই করতেন আল্লাহের কাছে যে তিনি যেন তাঁর প্রয়োজন মতো পান। এখন মনে রাখতে হবে যে এই প্রয়োজনীয়তা স্থান-কাল-পাত্র বিশেষে পরিবর্তনশীল। কারও দৈনিক পাঁচশ টাকায় জীবন চলে যায় আবার কোথাও দৈনিক পাঁচহাজার টাকা লাগে। তিনিই একমাত্র জানেন তোমাকে কতটা দেওয়া উচিত।