হাঁপানি আছে? এড়িয়ে চলুন এই চারটি খাবার

হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ যা শ্বাসনালী প্রদাহের ফলে হয়।এই হাঁপানি রোগ সেরে যাবার কোনো ওষুধ নেই নিজেকে ঠিকঠাক রুটিনের মধ্যে রাখা ছাড়া,পৃথিবীতে দূষণ বাড়ার সাথে সাথে এই হাঁপানি রুগিও বাড়ছে দিন দিন।বছরে প্রায় পনেরো কোটি মানুষ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয় গোটা বিশ্বে তার মধ্যে পঞ্চাশ হাজার বাংলাদশি। এদের পাঁচ শতাংশ মাত্র চিকিৎসা পায়। কিন্তু এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট কারণ এখনও পাওয়া যায়নি, যদিও তামাক দ্রব্য, ফুলের রেণু , ধুলোবালি, রাসায়নিক বস্তুর গন্ধ থেকে হাঁপানি হতে পারে। শ্বাসনালীর পর্দা ফুলে গিয়ে সংকুচিত হয়ে যায় যার ফলে শ্বাসবায়ু ঠিকভাবে বেরোতে ঢুকতে পারেনা।
হাঁপানি রোগে কী খাবেন
এই রোগে রুগি শুকনো কাশতে থাকে বারবার, সেই ব্যাক্তির বুকে চাপ লাগে অসহ্য। এর কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই অনেকসময় হঠাৎই অসহ্য কষ্টের পর আপনা থেকেই ঠিক হয়ে যাবে,এটি আবার তামাক নেওয়া মানুষদের মধ্যে বেশি হয় কখনো কখনো এটি বংশগত হয়, ধুলোবালি থেকেও হয়। ইনহেলার ছাড়া এর তেমন কোনো ওষুধ নেই, বেশি কাশি হলে বুকে এক্স রে নেওয়া উচিত। তাই হাঁপানি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে খাবারের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
কলা এই রোগের রুগিদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকে হাই ফাইবার যা ফুসফুসের মোক্ষম দাওয়াত ,কলা সহজপাচ্য হওয়ায় যারা হাঁপানির তীব্র সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিদিন কলা খাওয়ার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা।
পালং শাক: আমাদর প্রত্যেকের খাদ্যতালিকায় কোনো না কোনো শাক থাকে প্রতিদিন তা যদি হয় পালং শাক তাহলে তো কথাই নয়,পালং শাকে থাকে ভিটামিন c,ভিটামিন E,বিটা ক্যারোটিন যা হাঁপানি রোগের অব্যর্থ ওষুধ।এই রুগিদের পাতে তাই একটু পালং শাক থাকলে খুব ভালো হয়।
হলুদ: হলুদ জীবানুনাশক হিসাবে কাজ করে আমাদের শরীরে,আমরা প্রত্যেকই হলুদ খাই। কিন্তু হাঁপানি রোগের রুগিদের শরীর যেহেতু অনেকটা কমজোরি তাই হলুদ তাদের কাছে আলাদা মাত্রা পায়।
আপেল: আপেল সর্বগুন গুণ সম্পন্ন একটি খাবার তাই শরীর সুস্থ রাখতে আমরা সকলেই আপেল খাই কিন্তু আপেলে থাকে ফাইবার।যা ফুসফুস ভালো রাখে তাই হাঁপানি রুগিদের আপেল আরও জরুরি, এটি খেলে শরীর ব্যালেন্সে হয়।
অ্যাভোকাডো: যেহেতু এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা কারণ নেই তাই রুগিদের একটি নির্দিষ্ট নিয়মে থাকা উচিত।বেশি মশলা খাবার ,অনিয়মিত জীবনযাত্রা একদমই হাঁপানি রোগের একদমই উচিত নয়। এই রোগের রুগিদের লাল বা হলুদ রঙের সবজি ফল খাওয়া ভালো এগুলিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন যা ফুসফুসকে সতেজ রাখে।এছাড়াও সবুজ শাকসবজি তাদের শরীরে সমানভাবে দরকারএগুলি ভিটামিন cভিটামিনE সমৃদ্ধ।অ্যভোকাডো ফুসফুসকে রক্ষা করে।
হাঁপানিতে কী খাবেন না
এই রুগিদের সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে যেহেতু এদের শরীর নিতে পারবে না হাই প্রোটিন,হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার তাই এড়িয়ে যাওয়া ভালো।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা যদি শরীর বুঝে হিসাব করে করা যায় তাহলে নিজের শরীরের ঝামেলাটা আমাদের আর বইতে হবে না।
ডিম: আমরা জানি ডিম একটি সুষম খাবার , ডিমের ঐ সাদা অংশে থাকে হাই প্রোটিন ।যা হাঁপানি রুগিদের শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর ,এতে তাদের হাঁপানি তীব্র ভাবে দেখা দিতে পারে।তাই খাদ্যতালিকায় ডিম যেন কোনোভাবেই না থাকে।
দুধ: দুধে থাকে খাদ্য উপাদানের ছটি উপাদান সমানভাবে ।আমাদের ক্যালশিয়াম, প্রোটিন এর অনেকটা আসে দুধ থেকে কিন্তু হাই প্রোটিন দুধ হাঁপানির সম্ভাবনাকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।তাই চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া দুধ উল্টে শরীরে বিপদ ডেকে আনবে।
চিনা বাদাম: স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটি ব্যাক্তির খাদ্যতালিকায় চিনাবাদাম থাকে যা আমাদের শরীরের কিছু অঙ্গকে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে । কিন্তু এই বাদাম হাঁপানি রুগিদের জন্য না ,তাই খাদ্য তালিকায় চিনাবাদাম রাখবেন না।এতে থাকা খাদ্য উপাদান যেমন ক্যালরি, প্রোটিন এই রোগের পরিপন্থি উপাদান।
ফ্রোজেন চিপস: ফ্রীজে থাকা এই আলুর চিপস শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, আবার হাঁপানি রোগীদের এর থেকে শত হস্ত দূরে থাকা ভালো যেহেতু চিপসটা ডিহাইড্রেট হয়ে যায়।